ছাদে গাছ লাগানোর পদ্ধতি
ক)
হাফ ড্রাম এর
তলদেশে অতিরিক্ত পানি
নিস্কাশনের জন্য ১
ইঞ্চি ব্যাসের ৫
/ ৬ টি ছিদ্র
রাখতে হবে।
খ)
ছিদ্র গুলোর উপর
মাটির টবের ভাঙ্গা
টুকরো বসিয়ে দিতে
হবে।
গ)
ড্রামের তলদেশে ১
ইঞ্চি পরিমাণ ইটের
খোয়া বিছিয়ে তার
উপর বালি দিয়ে
ঢেকে দিতে হবে।
ঘ)
সমপরিমাণ দোঁআশ মাটি
ও নর্দান কম্পোস্ট দিয়ে
ড্রামটির দুই তৃতীয়াংশ
ভরার পর হাফ
ড্রাম অনুযায়ী ড্রাম
প্রতি নর্দান কম্পোস্ট সার আনুমানিক
৫০-১০০ গ্রাম
প্রয়োগ করে মাটির
সাথে ভাল ভাবে
মিশিয়ে দিতে হবে এবং
সম্পুর্ণ ড্রামটি মাটি
দিযে ভর্তি করে
নিতে হবে।
ঙ)
১৫ দিন পর
ড্রামের ঠিক মাঝে
মাটির বলপরিমাণ গর্ত
করে কাংখিত গাছটি
রোপন করতে হবে।
এ সময় চারা
গাছটির অতিরিক্তশিকড়/ মরা শিকড়গুলো
কেটে ফেলতে হবে
এবং খেয়াল রাখতে
হবে মাটির বলটি
যেন ভেঙ্গে না
যায়।
চ)
রোপিত গাছটিতে খুটি
দিয়ে বেধে দিতে হবে।
ছ)
রোপনের পর গাছের
গোড়া ভালভাবে পানি
দিয়ে ভিজিয়ে দিতে
হবে।
জ)
সময়ে সময়ে প্রয়োজন
মত গাছে পানি
সেচ ও উপরি
সার প্রয়োগ, বালাই
দমন ব্যবস্থা নিতে
হবে।
ঝ)
রোপনের সময় হাফ
ড্রাম প্রতি সার প্রয়োগ
করতে হবে।
ঞ)
গাছের বাড়-বাড়তি
অনুযায়ী ২ বারে
টব প্রতি ৫০
গ্রাম নর্দান জৈব সার / শক্তি মিশ্র
সার প্রয়োগ করে
ভাল ভাবে মিশিয়ে
দিতে হবে।
ট)
গাছের রোগাক্রান্ত ও মরা
ডালগুলো ছাটাই করতে
হবে ।
ছাদে
বাগানের গুরুত্ব
(ক)
টাটকা শাক-সবজি
ও ফল-মূল
পাওয়ার জন্য,
(খ)
বাড়তি আয় ও
অবসর সময় কাটানোর
জন্য ,
(গ)
কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য,
(ঘ)
ছাদের সবুজ চত্বরে
বিনোদনের সুবিধা পাওয়ার
জন্য,
(ঙ)
পরিবেশ দুষণ মুক্ত
রাখার জন্য,
(চ)
বায়ো ডাইভারসিটি সংরক্ষণের
জন্য,
(ছ)
অবকাঠামো তৈরিতে যে
পরিমাণ জমি নষ্ট হয়
ছাদে বাগানের মাধ্যমে
তার কিছু অংশ
পুষিয়ে নেওয়ার জন্য,
(জ)
বৃষ্টির পানি গড়িয়ে
যেতে বাধা দেওয়ার
জন্য,
(ঝ)
গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়ার
কবল থেকে রক্ষা
পাওযার জন্য,
(ঞ)
ছাদের ইনসুলেশনের জন্য।